১৮ মাস মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) প্রশিক্ষণ চালু রাখার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ১৮ মাস মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) প্রশিক্ষণ চালু রাখার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান – দৈনিক পাবনা
  1. admin@dainikpabna.com : admin :
  2. rakibhasnatpabna@gmail.com : Rakib Hasnat : Rakib Hasnat
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৫ অপরাহ্ন
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৫ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
পাবনায় ভোট না করায় চেয়ারম্যানের বাড়িতেই চেয়ারম্যানকে হুমকি দিল আ.লীগ নেতা! ৮ বছর আগে মারা গেছেন, প্রধান আসামি করে ভূমি কর্মকর্তার মামলা! চরতারাপুরে শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামী আমিরুল গ্রেপ্তার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নে দৃষ্টিনন্দন ‘গোলঘর’ শুভ উদ্বোধন  পাবনায় দপ্তরীর হাতে প্রাথমিক শিক্ষক লাঞ্চিত পাবনা বিআরটিএ অফিসে দালালদের আখড়া, টাকা ছাড়া ফাইল জমা হয়না! শরীফার গল্প’ নিয়ে যে সিদ্ধান্ত হলো সেন্টমার্টিনে বেড়াতে গিয়ে বিসিএস ক্যাডার হ্যাপী নিখোঁজ সুজানগরে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী শাহিনুজ্জামান শাহীনের উঠান বৈঠক পাবনায় ব্র্যাক স্কুলে মেয়েদের ক্রিকেট-ফুটবল প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

১৮ মাস মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) প্রশিক্ষণ চালু রাখার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

ডেস্ক নিউজঃ
  • আপডেট সময় : ১ বছর আগে
  • ৩৫৭ বার পঠিত

আজ ২৫ অক্টোবর পাবনা পিটিআইয়ের উদ্যোগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য ১৮ মাস মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) প্রশিক্ষণ চালু রাখার দাবিতে পাবনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন পাবনা পিটিআইয়ের ইনিস্ট্রাক্টরগণ।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য ১৮ মাস মেয়াদি  ডিপ্লোমা-ইন-প্রাইমারি এডুকেশন  (ডিপিএড) প্রশিক্ষণ
বাদ দিচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর বদলে ছয় মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করতে যাচ্ছে তারা। এতে প্রাথমিকের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে ঘাটতি থাকবে বলে আশঙ্কা প্রাথমিকের শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের। একই শঙ্কা শিক্ষাবিদদেরও। এ
আবার প্রশিক্ষণের সময় হ্রাস জাতীয় শিক্ষানীতিরও পরিপন্থি।
জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য এক বছর মেয়াদি সার্টিফিকেট-ইন-এডুকেশন (সিইনএড) চালু হয় স্বাধীনতার আগেই। ১৯৭৪ সালের কুদরত-এ-খুদা জাতীয় শিক্ষানীতিতে পিটিআইগুলোকে কলেজে রূপান্তর করার নির্দেশনা ছিল। সেখানে দুই বছরের প্রশিক্ষণ কোর্স করার কথা ছিল। এরপর ২০১০ সালের শিক্ষানীতিতে সিইনএডকে আরও যুগোপযোগী করে ১৮ মাস মেয়াদি ডিপিএড কোর্স চালুর কথা বলা হয়। জাতীয় শিক্ষানীতির ‘শিক্ষক প্রশিক্ষণ’-এর কৌশল-৪ শীর্ষক অধ্যায়ে বলা হয়েছে, ‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য প্রচলিত প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষা কার্যক্রম সিইনএড পরিবর্তন করে নতুন কার্যক্রম প্রবর্তন করা হবে। এ কার্যক্রমের মেয়াদ এক বছর থেকে বৃদ্ধি করে ১৮ মাস করা হবে। নতুন কার্যক্রমে শিখন-শেখানো ও মূল্যায়নের আধুনিক কলাকৌশল সংযোজন করা হবে। ইন্টার্নশিপ ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে ব্যবহারিক পাঠদানের মেয়াদ দুই পর্যায়ে কমপক্ষে ৯ মাস করা হবে।’ সে অনুযায়ী, ২০১৩ সাল থেকে ১২ মাস মেয়াদি সিইনএডের পরিবর্তে ১৮ মাস মেয়াদি ডিপিএড কোর্স চালু করা হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানায়, ডিপিএড হলো পরীক্ষার মতোই, এটা কোনো প্রশিক্ষণ নয়। এখান থেকে শিক্ষকরা কিছু শিখতে পারছে না। এই কোর্স প্রবর্তনের আগে কোনো গবেষণা করা হয়নি। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক গবেষণা করে জানিয়েছেন, এটা ফলপ্রসূ নয়। সময়ের পরিমাপে দেখা গেল, এই কোর্সে চার থেকে সাড়ে চার মাসের বেশি সময় লাগে না। তারা জানায়, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) আওতায় উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে ইউনিসেফ, সেভ দ্য চিলড্রেন, ব্র্যাক, ইউএনডিপি, ইউএসএইডসহ যারা শিক্ষা নিয়ে সারা দেশে কাজ করে, তাদের সবাই ডিপিএড কোর্স কমানোর প্রক্রিয়ায় জড়িত। উন্নয়ন সহযোগীদের কথামতো গবেষণা প্রতিবেদনও তৈরি করে বেশ কিছু দিন ধরে ডিপিএড বাদ দিয়ে ছয় মাসের শিক্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স কীভাবে শুরু করা যায়, তা নিয়ে কাজ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। সবার মতামতে এখন নতুন করে কোর্সটি ডিজাইন করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ শাখার পরিচালক ড. উত্তম কুমার দাশ বলেন, অনেক পিটিআইতে ডিপিএড ডাবল শিফটে নেওয়া হতো; কিন্তু এক শিফটের বেশি নেওয়ার সুযোগ নেই। শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেই এই কোর্স ডিজাইন করা হচ্ছে। তাই কারোরই ক্ষতি হবে না। তিনি বলেন, নতুন প্রশিক্ষণের বিষয়ে আরও কিছু সভা হবে। ৬ মাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, এর মধ্যে দুই মাস স্কুলে আর চার মাস পিটিআইতে। আগামী জানুয়ারি থেকে কার্যকর করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, জাতীয় শিক্ষা নীতি করার সময় এগুলোর (ডিপিএড) পেছনে কোনো গবেষণা ছিল না। তাই এমন করা হয়েছে। আর জাতীয় শিক্ষা নীতিও তো এখন রিভিশনের প্রক্রিয়ায় যেতে হবে।
তবে তার কথার সঙ্গে একমত নন অনেকেই। পিটিআই প্রশিক্ষকরা বলছেন, উন্নত অনেক দেশের মতো অবস্থা বাংলাদেশে নেই। এ দেশে আগে শিক্ষকতা পেশায় ঢুকে তারপর প্রশিক্ষণ নেওয়া হয়। এই প্রশিক্ষণ যে কত কার্যকরী, সেটা যারা মনোযোগ দিয়ে প্রশিক্ষণ নেন, তারাই জানেন; কিন্তু ১৮ মাস থেকে কমিয়ে ৬ মাস করা হলে মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্ভব হবে না। এতে জাতীয় শিক্ষানীতির লঙ্ঘন তো হবেই, দক্ষতাসম্পন্ন শিক্ষক পাওয়া যাবে না।
একজন প্রশিক্ষক বলেন, ডিপিএড কোর্স ১৮ মাস থেকে কমিয়ে ৬ মাস করা হলে সেটা তো আর কোর্স থাকল না, অন্যসব সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণের মতো মৌলিক একটা প্রশিক্ষণই হয়ে গেল। শিক্ষকতায় চাইল্ড সাইকোলজি সম্পর্কে ভালো ধারণা না থাকলে মানসম্মত পাঠদান সম্ভব নাও হতে পারে। তাই প্রশিক্ষণ ১৮ মাসের থাকা দরকার। তিনি বলেন, যাদের শিক্ষক প্রশিক্ষণের বিষয়ে যথাযথ জ্ঞান নেই, তাদের মতামত নিয়ে এসব করা হচ্ছে। যেখানে এক বছরের প্রশিক্ষণেও কাজ হচ্ছে না, সেখানে সময় কমিয়ে আনার সুযোগ নেই।
শিক্ষাবিদরাও বলছেন, ১৮ মাসের প্রশিক্ষণ কোর্সের সময় কমিয়ে আনলে মানসম্মত শিক্ষক পাওয়া যাবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, আমাদের প্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন, সম্মান, গ্রেড বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক নিচে। যে কারণে সক্ষম, যোগ্যরা এখানে কম আসে। তবে যারা আসে, তাদের তো প্রশিক্ষিত করতে হবে;

কিন্তু প্রশিক্ষণ কোর্সকে  কিন্তু প্রশিক্ষণ কোর্সকে ১৮ মাস থেকে কমিয়ে ৬ মাস করা হলে মানসম্মত শিক্ষক আমরা পাব না। শিক্ষকদের মধ্যে ঘাটতি রয়ে যাবে। করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃষ্ট শিখন ঘাটতি পূরণ করবে শিক্ষকরা, সেই শিক্ষকদের ঘাটতি থাকলে সেটা পূরণ করবে কে? এদিকে, ডিপিএড কোর্স ১৮ মাস অব্যাহত রাখার দাবিতে সারা দেশের সব জেলায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ পিটিআই কর্মকর্তা সমিতি (বাপিকস)। স্মারকলিপিতে তারা জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষাক্রম-২০২১ অনুসারে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তক রচিত হওয়ার পর ডিপিএড কারিকুলামকে তার আলোকে পরিমার্জন করা, শূন্য পদে প্রয়োজনীয়সংখ্যক ইন্সট্রাক্টর নিয়োগ করা, ডিপিএড কোর্স সমাপ্ত করার পরে একটি অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট প্রদান করা, ডিপিএড কার্যক্রমে অনলাইন, অফলাইন ও ব্লেন্ডেড মোডালিটি ব্যবহার করার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে আরও ফলপ্রসূ করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করেছেন। এ বিষয়ে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) মহাপরিচালক মো. শাহ আলম বলেন, এটা মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর মিলে করছে। বিভিন্ন পর্যায়ের স্টেকহোল্ডারদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে এটা করা হচ্ছে। পরবর্তীতে হয়তো পাইলটিং হবে। এর ভিত্তিতে যে ফল আসবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সার্বিক বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, শিক্ষক প্রশিক্ষণের কোর্স সীমিত করার বিষয়ে সব মহলের মতামত নেওয়া হয়েছে। তবে সেটা এখনো চূড়ান্ত নয়। আরও বিশদ আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ দৈনিক পাবনা
Themes Customized By Shakil IT Park