ঈদের দ্বিতীয় দিন নানা বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার পথে পাবনার সুজানগরে মাইক্রোবাস-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আবু তালহা তেহমী (১২) নামে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় দুই ভাই আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বুধবার (৪ মে) দুপুরে উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের কুড়িপাড়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবু তালহা রাইপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের হাটমালিফা গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে। সে স্থানীয় মালিফা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।
এ ঘটনায় তেহেমীর সঙ্গে থাকা তার আপন বড় ভাই মালিফা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মো. তোহা ও মোটরসাইকেল চালক চাচাত ভাই এইচএসসি পরীক্ষার্থী মো. মামুনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে পাবনা সদর হাসপাতাল এবং অবস্থার অবনতি হলে পরে তাদের দুইজনকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিজ বাড়ি হাট মালিফা থেকে চাচাত ভাই মামুনের মোটরসাইকেলে আপন দুই ভাই তেহেমী ও তোহা নানা বাড়ি সুজানগর পৌরসভার ভবানীপুর(কাচারীপাড়া) যাওয়ার পথে কুড়িপাড়া মোড়ে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মোটরসাইকেলে থাকা ৩ জনই গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সুজানগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তেহমীকে মৃত ঘোষণা করেন।
সুজানগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান জানান, তিন ভাই একসঙ্গে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য বের হয়ে এমন দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। ঘটনাস্থলেই একজন মারা গেছে। আহত দুইজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই ঘাতক মাইক্রোবাসটি দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ায় জব্দ করা সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত দুই বছর আগে নিহত তেহমীর আপন আরেক ভাই পানিতে ডুবে মারা যায়। এ ঘটনায় এলাকার সর্বস্তরের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।