পাবনার আমিনপুর থানার পুরান মাসুমদিয়া গ্রামের আলহাজ্ব রোকন উদ্দীন মোল্লার বাড়িতে গত ২৫ তারিখ দিবাগত রাত্রি আনুমানিক ১.৪৫ মিনিটের ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
১৪/১৫ জনের একটি ডাকাত দল রাত্রে রোকন মোল্লার বাড়িতে এক তলা বিল্ডিংয়ের প্রথমে গ্লীল কেটে এবং তারপর কাছের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। রোকন উদ্দীন মোল্লার ছেলেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকাসহ বাড়িতে ব্যবহার্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র লুটে নিয়ে যায়।ডাকাতরা প্রথমে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের সকলের মোবাইল ফোন গুলো ছিনিয়ে নিয়ে বন্ধ করে দেয় এবং ৪/৫ টা মোবাইল নিয়ে যায়।
ডাকাতি সংঘটিতকালে বাইরে কয়েকটি বাড়ির দরজায় ডাকাতরা পাহাড়া দিচ্ছিল, যাতে অন্য পরিবারের কেউ পুলিশকে খবর দিতে না পারে বা লোক ডাকতে না পারে।ডাকাতরা ডাকাতি করে যাবার সময় রোকন উদ্দীন মোল্লা বাড়িতে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে যায়।রোকন উদ্দিন মোল্লা জানান ডাকাত দলের সকলের মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল।
ডাকাত দল চলে যাবার পর খবর পেয়ে স্থানীরা ছুটে আসেন ভুক্তভোগীর বাড়িতে। তখন আমিনপুর থানায় খবর দিলে আমিনপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।এ বিষয়ে আমিনপুর থানার সাধারণ ডায়েরির প্রস্তুতি চলছে।
খবর নিয়ে জানা যায়,যে গত এপ্রিল এবং মে মাসে কাজিরহাট ঘাটে বেশ কয়টি দোকানে রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।দোকান মালিকরা জানান এমনও রাত গেছে এক রাতেই একাধিক চুরির ঘটনা ঘটেছে।আবার দেখা গেছে নাইট গার্ড একপাশে পাহাড়া দিচ্ছে তো, ডাকাতরা অন্য পাশে ডাকাতি করছে, এভাবে প্রতি সপ্তাহে একের পর এক ডাকাতি ঘটেছে। অবশেষে ডাকাতি থেকে রক্ষার জন্য রাতে পাহাড়া আরও জোরদার করা হয়।
উল্লেখ্য যে গতকাল রাত পৌনে দশটার দিকে কাজিরহাট ঘাটের বিকাশ এবং ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী সজিব জানায়, তিনি দোকান বন্ধ করে টাকা নিয়ে বাড়ি যাবার পথে পেছেন থেকে তাকে লাঠি দিয়ে কে বা কাহারা স্বজোরে তাকে আঘাত করলে সজিব মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং সজিব কৌশলে মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে একটু দুরে গিয়ে হাতে থাকা লাইট জ্বালিয়ে লোকজন ডাকতে থাকলে আক্রমনকারি দল দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় সজিব বাড়িতে ফিরতে সক্ষম হন।ধরনা করা হচ্ছে – রোকন উদ্দীন মোল্লার বাড়িতে সংঘটিত ডাকাকির সাথে এর সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।