পাবনার সুজানগর উপজেলার ভায়না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শান্ত ও তার মা সহ অন্তত ৭ জনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ব্যক্তিদের সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৫ জুন)বিকেলে ভায়না ইউনিয়নের কালিবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ভায়না গ্রামের আব্দুল মালেক প্রামানিক স্ত্রী ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শান্ত (২৫), তার মা শান্তি খাতুন (৪৫), বোন সাথী খাতুন (২০), আব্দুর রশিদ প্রামানিকের ছেলে বাদশা(৩৮), আব্দুল মতিন শেখের ছেলে মাসুম শেখ (১৭), আব্দুল গনি শেখের ছেলে আলম শেখ (৩৫), মালেকা খাতুন (৪৫)।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভায়না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিল, ঐ সড়ক দিয়ে আলম নামক এক ব্যক্তি তার ছোট ছেলের সাথে করে হেঁটে যাচ্ছিল, আমিন উদ্দিন চেয়ারম্যানের মোটরসাইকেলের সাইট দিতে দেরি হলে, চেয়ারম্যান মোটরসাইকেল থেকে নেমে আলমের ছোট ছেলেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে আলমকে ব্যাপক মারপিট শুরু করে।
এই খবর ছড়িয়ে পড়লে চেয়ারম্যানের লোকজন বোমা বিস্ফোরণ করে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শান্তর মা ও বোন সহ বেশ কয়েকজন বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করে। আহত ব্যক্তিদের দেখতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাৎক্ষণিকভাবে দেখতে ছুটে যান, সুজানগর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে পাওয়া যায়নি।ভায়না ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শান্ত বাদী হয়ে ১৪ জনের নামে সুজানগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
সুজানগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান জানান, ঘটনার পরে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। উভয়পক্ষ থেকে অভিযোগ দিয়েছেন সেটি পেয়েছি। তবে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।