শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে পাবনা ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ছাত্রদের নিয়ে আয়োজিত ৮ম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন কথা বলেন। পরে তিনি তিনটি হাউস উদ্বোধন করেন।
সেনাপ্রধান তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই ভাষা শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকার রাজপথে গুলি হয়। সালাম, বরকত, জব্বারসহ অনেক শহীদ তাজা রক্ত ঢেলে দেয়। আসলে তারা দেশের প্রতি ভালোবেসেই এমন কাজ করেছিলেন। যেসকল মানুষ নিজের পরিবার পরিজনের কথা চিন্তা না করে মাতৃভাষা দেশে প্রতিষ্ঠিত করতে জীবন দিয়ে গেছেন তাদের কথা আজীবন মানুষ স্বরণ করবে। তারা সেদিন জীবন না দিলে আমরা হয়ত এই স্বাধীন দেশ পেতাম না। সেই শহীদদের প্রতি ক্যাডেটদের আজীবন সম্মান রাখতে হবে। ভাষা আন্দোলনে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও ব্যাপক অবদান রেখেছিলেন।
ক্যাডেটদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। ক্যাডেট কলেজ ক্যাডেটদের জন্য বড় একটা সুযোগ। কারণ এখানে সবাই সুযোগ পায়না। সরকার ক্যাডেটদের জন্য প্রচুর অর্থ খরচ করে। এটাকে কাজে লাগাতে হবে। কেননা এটা জীবনের মূল এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ ক্যাডেটদের সাথে আগামীর বাংলাদেশ সম্পর্কিত। ক্যাডেটদের আরও দক্ষ করে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে।
প্রাক্তন ক্যাডেটদের একসঙ্গে প্যারেড তাদের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে। জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত শৃঙ্খলা নিয়ে চলতে হবে। এটাই ক্যাডেটদের মূল শিক্ষা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহাপরিচালক জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা মেজর জেনারেল টি এম জোবায়ের, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ্যাডজুটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মোঃ নজরুল ইসলাম, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ১১ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার বগুড়া এরিয়া মেজর জেনারেল মোঃ খালেদ-আল-মামুনসহ পাবনা ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষকগণ, গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষার্থী ও বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।