ভালোবেসে বিয়ে, স্ত্রীকে গুলি করে খুন করায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড ভালোবেসে বিয়ে, স্ত্রীকে গুলি করে খুন করায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড – দৈনিক পাবনা
  1. admin@dainikpabna.com : admin :
  2. rakibhasnatpabna@gmail.com : Rakib Hasnat : Rakib Hasnat
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৩ পূর্বাহ্ন
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৩ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
পাবনায় ভোট না করায় চেয়ারম্যানের বাড়িতেই চেয়ারম্যানকে হুমকি দিল আ.লীগ নেতা! ৮ বছর আগে মারা গেছেন, প্রধান আসামি করে ভূমি কর্মকর্তার মামলা! চরতারাপুরে শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামী আমিরুল গ্রেপ্তার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নে দৃষ্টিনন্দন ‘গোলঘর’ শুভ উদ্বোধন  পাবনায় দপ্তরীর হাতে প্রাথমিক শিক্ষক লাঞ্চিত পাবনা বিআরটিএ অফিসে দালালদের আখড়া, টাকা ছাড়া ফাইল জমা হয়না! শরীফার গল্প’ নিয়ে যে সিদ্ধান্ত হলো সেন্টমার্টিনে বেড়াতে গিয়ে বিসিএস ক্যাডার হ্যাপী নিখোঁজ সুজানগরে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী শাহিনুজ্জামান শাহীনের উঠান বৈঠক পাবনায় ব্র্যাক স্কুলে মেয়েদের ক্রিকেট-ফুটবল প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

ভালোবেসে বিয়ে, স্ত্রীকে গুলি করে খুন করায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ২ বছর আগে
  • ৭৮ বার পঠিত

যৌতুকের দাবিতে পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারায় গৃহবধূ রুমানা পারভিনকে গুলি করে খুনের ঘটনায় স্বামী মো. আব্দুল্লাহকে ফাঁসি ও ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে মামলার তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. আব্দুল্লাহ ভাঁড়ারা ইউনিয়নের পশ্চিম দামুয়া গ্রামের আব্দুল লতিফ প্রামাণিকের ছেলে। রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে মৃত্যুদণ্ড আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয় এবং খালাসপ্রাপ্তদের মুক্তির আদেশ দেওয়া হয়।

নিহত গৃহবধূ রুমানা পারভিন একই গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের মেয়ে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেন আব্দুল্লাহ ও পারভিন। বিয়ের পর থেকেই যৌতুক দাবি করে আসছিলেন আব্দুল্লাহ। একাধিকবার টাকা দিলেও ঘটনার কয়েক দিন আগে আবারও যৌতুকের টাকা দাবি করেন তিনি। টাকা দিতে অস্বীকার করলে ২০১৪ সালের ৩০ অক্টোবর গভীর রাতে ঘরে থাকা বন্দুক দিয়ে রুমানাকে গুলি করে মেরে ফেলেন। খবর পেয়ে পাবনা সদর থানা পুলিশ গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে পাবনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১০ মার্চ চারজনের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হলো।

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘রায়ে আমার মক্কেল ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব। আশা করি আমার মক্কেল সেখানে ন্যায় বিচার পাবেন এবং নির্দোষ প্রমাণিত হবেন।

তবে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুর রকিব। তিনি বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি দৃষ্টান্তমূলক রায়। আশা করি আইনি প্রক্রিয়া শেষে খুব দ্রুত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে।

 

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ দৈনিক পাবনা
Themes Customized By Shakil IT Park