রমজানের শুরু থেকেই পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার সর্বত্র লোডশেডিং বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানে সাহরি-ইফতার ও তারাবির নামাজের সময়েও থাকছে না বিদ্যুৎ। পবিত্র রমজান মাসে সাহরি-ইফতার ও তারাবির নামাজের সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের কথা থাকলেও তা মানছে না পল্লি বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। তাদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, প্রথম রোজা থেকেই এ উপজেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বেড়েছে। পৌরশহরের চেয়ে উপজেলার গ্রামগুলোতে লোডশেডিং হচ্ছে বেশি। বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভ্যাপসা গরমে তারাবি নামাজ পড়তে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মুসল্লিদের। আর সাহরির সময় বিকল্প বাতিতে সারতে হচ্ছে রান্না-বান্না ও খাওয়া-দাওয়ার কাজ।
আজকের পত্রিকা অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন
উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের দুধবাড়ীয়া গ্রামের বাসিন্দা খলিলুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রথম রোজা থেকেই এলাকায় ঠিকমতো বিদ্যুৎ থাকছে না। সাহরি-ইফতার ও তারাবির নামাজের সময় যদি বিদ্যুৎ চলে যায় তাহলে কেমন লাগে বলেন?’
উপজেলার চরভাঙ্গুড়া গ্রামের ফরিদ সরকার বলেন, ‘প্রতিদিন ৩ / ৪ বার করে বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে। ইফতারের সময় প্রায়ই বিদ্যুৎ থাকছে না। দিন দিন গরমের তীব্রতার সঙ্গে লোডশেডিং বাড়ছে।’
উপজেলার গ্রামের ভবানীপুর গ্রামের কামরুজ্জামান মানিক বলেন, ‘তারাবি নামাজের সময় ঠিকমতো বিদ্যুৎ থাকছে না। গরমে নামাজ আদায় করতে মুসল্লিদের কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। গত বুধবার রাতে তারাবি নামাজের পুরোটা সময়ই বিদ্যুৎ ছিল না। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তারাবি নামাজ অর্ধেক শেষ হলে বিদ্যুৎ আসে।’
এ বিষয়ে পাবনা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (ভাঙ্গুড়া সাব জোনাল অফিস) মোহাম্মদ মনির হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ‘বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের সমস্যার কারণে সারা দেশে গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে লোডশেডিং করতে হচ্ছে। গ্যাস সংকট দূর হলে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’