অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স র্যাংকিং-২০২২ এ বিশ্বসেরা গবেষদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ২৬ জন গবেষক। এর মধ্যে ২৫ জন শিক্ষক এবং একজন শিক্ষার্থী।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে এই তালিকা প্রকাশ করে।
বিশ্বের ১৪ হাজার ১২০টি প্রতিষ্ঠানের সাত লাখ ২৯ হাজার গবেষকদের তালিকা প্রকাশ করে তারা। ১২ ক্যাটাগরিতে গবেষকদের ভাগ করে তারা এই তালিকাটি প্রকাশ করে। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬ জন গবেষক স্থান পায়।
প্রকাশিত তালিকায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মধ্যে প্রথম তিনজন শিক্ষকই গণিত বিভাগের। যার মধ্যে প্রথমে আছে বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. নূর আলম, দ্বিতীয়তে আছেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান খান। তৃতীয়তে আছেন বিভাগের আরেকজন শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. ফজলুল হক।
২৬ জন গবেষকের মধ্যে গণিত বিভাগের ৭ জন শিক্ষক, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ৪ জন, কম্পিউটার প্রকৌশল বিজ্ঞান বিভাগের ৩ জন শিক্ষক, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ৩ জন, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন প্রকৌশল বিভাগের ৩ জন, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২ জন শিক্ষক এবং ১ জন শিক্ষার্থী, ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১ জন, অর্থনীতি বিভাগের ১ জন এবং ফার্মেসি বিভাগের ১ জন শিক্ষক রয়েছেন।
এই বিষয়ে গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. নূর আলম বলেন, নিজের কাছে ভালো লাগছে। দীর্ঘদিন ধরে গবেষণার সঙ্গে যুক্ত আছি। সেটারই একটা স্বীকৃতি এই সায়েন্টিফিক ইনডেক্স। গবেষণা নিয়ে সামনে আরো অনেক কাজ করার পরিকল্পনা আছে। যথাপোযুক্ত পরিবেশ এবং ফান্ড ফেলে আমি শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো একটি গবেষণা কর্ম পরিচালনা করতে পারবো বলে বিশ্বাস করছি।
তালিকার চতুর্থতে থাকা ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাসিবুর রহমান লি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান সৃষ্টির জায়গা। আমরা যারা একাডেমিশায়ন আছি তারা নিত্য নতুন গবেষণা করে আসলে জ্ঞান সৃষ্টির কাজ করে যাচ্ছি। নিজের কাছে ভালো লাগছে। পাবিপ্রবি সামনের দিনে একটি গবেষণামুখী বিশ্ববিদ্যালয় হবে এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
উল্লেখ্য, অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স গবেষকদের গুগল স্কলারের রিসার্চ প্রোফাইলের বিগত ৫ বছরের গবেষণার এইচ ইনডেক্স, আইটেন ইনডেক্স এবং সাইটেশন স্কোরের ভিত্তিতে র্যাংকিংটি প্রকাশ করেছে।