বিদেশে পাঠানোর কথা বলে হত্যা, ৪ জনের যাবজ্জীবন বিদেশে পাঠানোর কথা বলে হত্যা, ৪ জনের যাবজ্জীবন – দৈনিক পাবনা
  1. admin@dainikpabna.com : admin :
  2. rakibhasnatpabna@gmail.com : Rakib Hasnat : Rakib Hasnat
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪২ অপরাহ্ন
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪২ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
চাটমোহর উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিলেন আতিকুর রহমান আতিক পাবনায় ভোট না করায় চেয়ারম্যানের বাড়িতেই চেয়ারম্যানকে হুমকি দিল আ.লীগ নেতা! ৮ বছর আগে মারা গেছেন, প্রধান আসামি করে ভূমি কর্মকর্তার মামলা! চরতারাপুরে শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামী আমিরুল গ্রেপ্তার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নে দৃষ্টিনন্দন ‘গোলঘর’ শুভ উদ্বোধন  পাবনায় দপ্তরীর হাতে প্রাথমিক শিক্ষক লাঞ্চিত পাবনা বিআরটিএ অফিসে দালালদের আখড়া, টাকা ছাড়া ফাইল জমা হয়না! শরীফার গল্প’ নিয়ে যে সিদ্ধান্ত হলো সেন্টমার্টিনে বেড়াতে গিয়ে বিসিএস ক্যাডার হ্যাপী নিখোঁজ সুজানগরে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী শাহিনুজ্জামান শাহীনের উঠান বৈঠক

বিদেশে পাঠানোর কথা বলে হত্যা, ৪ জনের যাবজ্জীবন

দৈনিক পাবনা ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১ বছর আগে
  • ৪৯ বার পঠিত

বিদেশে পাঠানোর কথা বলে পাবনা থেকে ঝিনাইদহে ডেকে নিয়ে হত্যার অভিযোগে চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক (জেলা জজ) মো. আহসান তারেক এই রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ঝিনাইদহের শৈলকোপা উপজেলার লঘু নন্দনপুর গ্রামের নুরু জোয়ার্দারের ছেলে সবুজ ওরফে দাদা ভাই ওরফে বকুল, কুষ্টিয়ার খোকশা থানার বনগ্রাম পূর্বপাড়া গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে আবুল কালাম, নিহাল বিশ্বাসের ছেলে আজাদ এবং একই এলাকার খলিল। রায় ঘোষণার সময় আজাদ ও আবুল কালাম উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ থেকে পাবনার বেড়া উপজেলার রামনারায়পুরের রশিদ সিকদারের বাড়িতে দিনমজুরের কাজে এসে সম্পর্ক তৈরি করেন সবুজ। সম্পর্কের একপর্যায়ে ২০০৯ সালের ১৪ জুলাই রশিদকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে যান সবুজ। পরের দিন রশিদের বাড়ির লোকজন তার খোঁজ নিলে সবুজ তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। পরে এ বিষয়ে বেড়া থানায় একটি অভিযোগ দেন রশিদের শ্যালক বাহের মণ্ডল। অভিযোগের সূত্রে ধরে সবুজকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্বীকার করেন যে- মুক্তিপণের টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে হত্যা করে মরদেহ পদ্মা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

তবে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করতে না পারায় আসামিদের বিরুদ্ধে শুধু অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১১ জানুয়ারি ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজকে এই রায় দেন।

আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তৌফিক ইমাম খান ও মকিবুল আলম বাবলা এবং রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক।

রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক বলেন, যেহেতু মরদেহ উদ্ধার হয়নি এজন্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী অপহরণ মামলায় বিচার হয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতীয়মান হয়েছে।

তবে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আসামিদের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তৌফিক ইমাম খান। তিনি বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে আমার মক্কেল ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

 

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ দৈনিক পাবনা
Themes Customized By Shakil IT Park