নিউজ ডেস্ক : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের অনলাইনে বদলির কার্যক্রম বুধবার (২৭ জুলাই) শুরু হচ্ছে।
সকাল ১১টায় সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
এর আগে গত ২৯ জুন গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বহুল প্রতীক্ষিত অনলাইনে বদলির পাইলটিং কার্যক্রম শুরু হয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেছেন, যারা আবেদন করেছিলেন আজ বুধবার তাদের বদলিস্থলের নাম ঘোষণা করা হবে। এরপর কেন্দ্রীয়ভাবে বদলির কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর এক আদেশে শিক্ষক বদলি বন্ধ করে দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। গত ১৩ জুন সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। এসংক্রান্ত আদেশে বলা হয়, ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবরের আদেশটি বাতিল করা হলো। ফলে বদলির পথ উন্মুক্ত হয়।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন বদলি কার্যক্রম অনলাইন ও ম্যানুয়ালি সম্পন্ন হবে। তবে এবারই প্রথম অনলাইনে বদলি কার্যক্রম চালু করা হয়।
বদলির জন্য যেভাবে অনলাইনে আবেদন করবেন : শিক্ষকগণ এখন তাদের শিক্ষক পিন (ই-প্রাইমারি সিস্টেম) ব্যবহার করে OTP Authentication এর মাধ্যমে লগইন করে নিজস্ব UI (User Interface) এ প্রবেশ করে বদলির আবেদন করতে পারবেন।
শিক্ষক এবং বিদ্যালয়ের তথ্যাদি পূর্ব থেকেই ডাটাবেইজে সংরক্ষণ থাকায় শুধুমাত্র বদলির ক্ষেত্র (অন্ত:উপজেলা, আন্ত:উপজেলা, আন্ত:জেলা, আন্ত:বিভাগ এবং অন্ত:সিটি কর্পোরেশন) এবং বদলির কারণ সিলেক্ট করে বদলির আবেদন করতে পারবেন।
মাসিক রিটার্ণ, চাকুরি বহির ফটোকপি ইত্যাদি সংযুক্তির প্রয়োজন হবে না। তবে ক্ষেত্রমতে স্বামী/স্ত্রীর কর্মস্থলের বা স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণপত্র, বদলির কারণ কিংবা প্রেক্ষাপটের আলোকে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র সংযুক্ত করতে হতে পারে।
বিদ্যমান বদলির নীতিমালার শর্তাবলীর আলোকে backend এর লজিকগুলো এমনভাবে সেট করা হয়েছে যেন অযাচিত কিংবা বদলির শর্তপূরণ করে না এমন কেউ আবেদন করতে না পারে।
শূন্য পদের সকল তথ্য ডাটাবেইজে থাকায় শিক্ষকগণ আবেদনের সময়ই বিদ্যমান সকল শূন্যপদ দেখতে পাবেন এবং এক বা একাধিক বিদ্যালয় বাছাই করে আবেদন করতে পারবেন।
সঠিকভাবে আবেদন সাবমিট করলে আবেদনকারী আবেদনের একটি পিডিএফ কপি এবং Application Tracking No সংবলিত সিস্টেম জেনারেটেড একটি রিসিপ্ট পাবেন এবং তার মোবাইলে নোটিফিকেশন প্রেরণ করা হবে।
তাছাড়া শিক্ষক পিন ব্যবহার করে লগইন করে যেকোন সময় তার ড্যাশবোর্ড থেকে আবেদনের বর্তমান অবস্থান জানতে পারবেন।
সফটওয়্যারে প্রতিটি ধাপে সময় নির্ধারণ করা থাকবে ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবেদনটি অগ্রায়ণ হতে থাকবে এবং কোন ধাপে অতিরিক্ত সময় ক্ষেপনের কোন সুযোগ থাকবে না।
আবেদনকারীর বদলির প্রেক্ষাপটের আলোকে সিস্টেম হতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্কোর নির্ধারিত হবে ফলে আবেদনকারী একাধিক হলে অগ্রাধিকার তালিকাও সিস্টেম থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হবে।
ফলে একদিকে যেমন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে অন্যদিকে অযাচিত তদবির ও চাপ হ্রাস পাবে। তারপরও এখানে বলে রাখা প্রয়োজন যে, কোন ধরণের পাইলটিং ছাড়াই পোর্টালটি উন্মুক্ত করা হচ্ছে তাই প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সেক্ষেত্রে আপনারা সবাই আপনাদের মূল্যবান পরামর্শ শেয়ার করবেন। মনে রাখবেন, আপনার আমার সকলের প্রচেষ্টায়ই কাঙ্খিত রূপ পাবে অনলাইন শিক্ষক বদলি পোর্টালটি। ধন্যবাদ সবাইকে।