‘স্বপ্নে মৃত মায়ের ডাক পেয়ে’ পাবনায় শিশুর আত্মহত্যার চেষ্টা ‘স্বপ্নে মৃত মায়ের ডাক পেয়ে’ পাবনায় শিশুর আত্মহত্যার চেষ্টা – দৈনিক পাবনা
  1. admin@dainikpabna.com : admin :
  2. rakibhasnatpabna@gmail.com : Rakib Hasnat : Rakib Hasnat
শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ১১:৪৪ অপরাহ্ন
শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ১১:৪৪ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
মেয়ে নিয়ে প্রবেশ করতে না দেয়ায় পাবিপ্রবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ দোগাছিতে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় হাতেনাতে ধরা ব্যবসায়ী ফরিদপুরের কেএম মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে ফল উৎসব রাষ্ট্রপতির আদেশে পাবিপ্রবির ৬ কর্মকর্তার তুরস্ক সফর বাতিল ঘোষণা ছাত্রলীগ নেতা জনির অত্যাচারে অতিষ্ট পাবনার ভাঁড়ারাবাসী আগুনে ৩ ঘর ভস্মীভূত ও পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি পাবনায় ভাঙন আতঙ্কে নদী পাড়ের মানুষ, হুমকিতে পল্লী বিদ্যুৎ সাবস্টেশন নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন: কৃষিমন্ত্রী তারাশে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রাচীর ভাংচুর ও জমি দখলের অভিযোগ  মালিগাছায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির অভিযোগ

‘স্বপ্নে মৃত মায়ের ডাক পেয়ে’ পাবনায় শিশুর আত্মহত্যার চেষ্টা

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঈশ্বরদী
  • আপডেট সময় : ১ বছর আগে
  • ১১২ বার পঠিত
ঈশ্বরদী থানা

পাবনার ঈশ্বরদীতে ১১ বছরের এক শিশুকে আত্মহত্যার চেষ্টার সময় উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) ঈশ্বরদী পৌর এলাকার নিউ কলোনি রওজাতুল কোরআন রহমানিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের দাবি—শিশুটি বলেছে, স্বপ্নে মৃত মায়ের ডাকে সাড়া দিতে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।

মাদ্রাসার দোতলার ছাত্রাবাসের রেলিংয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা ওই শিশু মাদ্রাসাটিতে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল সাত মাস আগে। মাসিক ২ হাজার টাকা খরচের বিনিময়ে মাদ্রাসার আবাসিক শাখায় লেখাপড়া করছে সে। ওই শিক্ষার্থী বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের মক্তবে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।

মাদ্রাসার ছাত্র ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত রাতে সাহরি খাওয়ার পর ঘুমিয়ে পড়েছিল ওই শিক্ষার্থী। কিন্তু সকাল আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে তার ঘুম ভেঙে গেলে সে তার বিছানাপত্র বাঁধার দড়ি দোতলায় স্টিলের রেলিংয়ের সঙ্গে বেঁধে গলায় ফাঁস নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পার্শ্ববর্তী রূপপুর প্রকল্পের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী কাজে যাচ্ছিলেন। তিনি ওই শিশুকে ছটফট করতে দেখে চিৎকার দেন। চিৎকার শুনে পাশের এক দোকানদারসহ নিকটবর্তী তিন-চারজন ছুটে এসে মাদ্রাসার সীমানাপ্রাচীরের ওপর দাঁড়িয়ে ঝুলন্ত শিশুটিকে উদ্ধার করেন। মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারী ও অন্য শিক্ষার্থীদের সবাই তখন ঘুমিয়ে ছিল।

উদ্ধারের পর অসুস্থ শিশুটির মাথায় পানি দেওয়ার সময় উপস্থিত সবার চিৎকারে ঘুম ভাঙে মাদ্রাসার শিক্ষকদের। তাঁরা তখন সেখানে আসেন। এ সময় মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যাওয়া শিশুটি ভয়ে কোনো কথা বলতে পারছিল না। শুধু ভয়ে কাতর চোখে সে শিক্ষকদের দিকে তাকাচ্ছিল। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন জড়ো হয় এবং শিক্ষার্থীটির আত্মহত্যার চেষ্টা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এদিকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ওই শিক্ষার্থীর বাবাকে নাটোর থেকে মোবাইলে ডেকে আনেন। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশসহ কাউকেই জানানো হয়নি। এমনকি ছাত্রটিকে কোনো প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়নি বলেও জানায় এলাকাবাসী। পরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা এলে তাঁর হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়।

মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমরা মাদ্রাসায় কোনো শিক্ষার্থীকে অত্যাচার করি না। অথচ কেউ কেউ এটা বলার চেষ্টা করছে যে, আমাদের অত্যাচারে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।’

গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থী সুস্থ হওয়ার পর তার আত্মহত্যার কারণ জানতে চাওয়ায় সে বলেছে, ‘‘আমি আমার মৃত মাকে স্বপ্নে দেখেছি। মা আমাকে তার কাছে ডাকছে। তাই আমি আত্মহত্যা করতে চেয়েছি।” তার বাবা গত তিন মাস মাদ্রাসায় কোনো খবর নেয় না। সেটার কারণেও সে এমনটা করতে পারে।’

শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া, পুলিশ ও প্রশাসনকে জানানো হয়নি কেন, সে বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আসলেই জানানো উচিত ছিল। আমার ভুল হয়ে গেছে।’

ছেলের সঙ্গে টানা তিন মাস যোগাযোগ না করার কারণ জানতে চাইলে ওই শিক্ষার্থীর বাবা জানান, ‘আমি নর্থবেঙ্গল সুগার মিলে চাকরি করি। জমিতে চৈতালি থাকার কারণে মাসখানেক আমি ছেলেকে দেখতে যেতে পারিনি। কিন্তু আমি প্রতিদিনই সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা নাগাদ হুজুরের মোবাইলে ফোন করি। কিন্তু হুজুর ইদানীং আমার ফোন ধরেন না। তাই ছেলের সঙ্গে কথা হয়নি কয়েক দিন।’ তিনি বলেন, ‘আমি যেতে না পারলেও ভাতিজাকে দিয়ে আমার ছেলেকে মাসিক খরচের টাকা পাঠানোসহ তার মাধ্যমে বাড়িতেও নিয়ে গেছি বেড়িয়ে আসার জন্য। সুতরাং আমি যোগাযোগ রাখি না এমন অভিযোগ মিথ্যা।’

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পরপরই আমি খোঁজখবর নিয়েছি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি সমাজসেবা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে পারেন। পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি।’

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ দৈনিক পাবনা
Themes Customized By Shakil IT Park