বুধবার (২৮ জুন) সকালে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক মীর রাব্বিউল ইসলাম সীমান্ত স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, পাবনা জেলা শাখার এক জরুরী সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের নীতি-আদর্শ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়ায় এস এম সোহাগ (সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সুজানগর পৌর শাখা ) আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার উপযুক্ত কারণসহ লিখিত জবাব আগামী সাত (০৭) কার্যদিবসের মধ্যে পাবনা জেলা ছাত্রলীগ বরাবর কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করা হলো।’
পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ বলেন, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাকে শোকজ করা হয়েছে। দলের নাম ভাঙিয়ে অপরাধ করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় সুজানগর মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে চরতারাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আহম্মেদ আলীর ওপর হামলা চালায় সুজানগর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সোহাগ ও তার লোকজন। এসময় তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
সুজানগরের আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা সোহাগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। সুজানগরের পার্শ্ববর্তী চরতারাপুর ইউনিয়নের নির্বাচনের সময় হত্যা মামলাসহ একাদিক চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সোহাগ সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহিনের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে বলে স্থানীয় নেতারা জানান।
