পাবনা সদর উপজেলার দুবলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি জিয়াউর রহমানের অনিয়ম-দুর্নীতির ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি থেকে একযোগে সকল সদস্য পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। একই সঙ্গে সভাপতির পদত্যাগ দাবি করে পুনরায় নতুন সভাপতি নির্বাচনের আহবান জানানো হয়েছে।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পদত্যাগী সদস্যরা সাংবাদিকদের এতথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন ম্যানেজিং কমিটির সব সদস্য।
ম্যানেজিং কমিটির ৮ সদস্যের স্বাক্ষরিত পদত্যাগপত্রে বলা হয়েছে, আমরা আপনার (প্রধান শিক্ষক) বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য। আপনার বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনায় আমাদের সাথে কোনও আলোচনা না করে বিভিন্ন বিষয়য়ে একক সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণে আমরা আপনার ম্যানেজিং কমিটি হতে অব্যাহতি নিচ্ছি।
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি সূত্রে জানা গেছে, দুবলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সদ্য নির্বাচিত সভাপতি জয় মাহমুদ জিয়া সভাপিত নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অনিয়ম-দুর্নীতির ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজকর্ম করে যাচ্ছেন। বিদ্যালয়ের কোন কাজ অন্যান্য সদস্যদের থেকে পরামর্শ না নিয়ে নিজেই একক সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামািঝতে দুবলিয়া অঞ্চলের সম্মিলিত ১৫ টি স্কুলের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠােন ম্যানেজিং কমিটির কাউকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। সভাপতির ছেলে দুবলিয়া এইচ কে বিদ্যানিকেতন কিন্ডারগার্টেনে শিশু শ্রেণিতে পড়াশুনা করে। দুবলিয়া প্রাইমারিতে শুধু খাতা কলমে লিখে রাখা হয়েছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সদস্যরা বলেন, বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনায় আমাদের সাথে কোনো আলোচনা না করে বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। তার ছেলে এই স্কুলে লেখাপড়া না করলেও দলীয় পরিচয়ে সম্মুর্ণ নিয়মবহির্ভূতভাবে সভাপতি হয়ে প্রভাব বিস্তার করে চলছে। সেজন্য আমরা ম্যানেজিং কমিটি হতে পদত্যাগ করেছি। সভাপতিকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন সভাপতি নির্বাচনের দাবি জানাই।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোছা: রোখসানা খাতুন বলেন, আমি নতুন ভারপ্রাপ্ত হিসেবে রয়েছি। এখনো দায়িত্ব বুঝে পাইনি। এসব বিষয়ে ঠিকমত বলতে পারব না।
এবিষয়ে দুবলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিযুক্ত সভাপতি জয় মাহমুদ জিয়ার সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোনও বক্তব্যা পাওয়া সম্ভব হয়নি।
পাবনা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এখনো আমাদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা পড়েনি। আমার অফিসে বিষয়টি জমা পড়লে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’