পাবনা শহরের মামুন মটরস টিভিএস মোটরসাইকেল শোরুমের ম্যানেজার মো. সোহেল রানার বিরুদ্ধে ২০ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরখাস্তকৃত ম্যানেজারকে নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
গ্রাহকদের সতর্ক করে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাত ও একাধিক গ্রাহকের ডকুমেন্ট রেজিষ্ট্রেশন জালিয়াতি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সোহেল রানাকে বর্তমানে মামুন মটরসের টিভিএস শোরুমের সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এমতবস্থায় তার সঙ্গে শোরুমের সংশ্লিষ্ট কোনো ধরনের লেনদেন না করতে গ্রাহকদের অনুরোধ করা হয়েছে। এরপরও কেউ সোহেল রানার সঙ্গে আর্থিক অথবা যেকোনও ধরনের লেনদেন করলে কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।
পাবনা শহরের আব্দুল হামিদ রোডের রায় বাহাদুর গেট সংলগ্ন মামুন মটরসের ম্যানেজার মো. সোহেল রানার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠে। অভিযুক্ত সোহেল রানা পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের ভাউডাঙ্গার ঘোড়াদহ গ্রামের আউয়াল দর্জির ছেলে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত সোহেল রানা, তার বাবা রবিউল আউয়াল এবং বড় ভাই মো. রাসেলের যোগসাজশে এইসব টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে পাবনা সদর থানার একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সাল থেকে শোরুমের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাত ও গ্রাহকের রেজিষ্ট্রেশন ডকুমেন্ট জালিয়াতির একাধিক অভিযোগ আসতে থাকে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শোরুমের খাতাপত্র অডিট করা হয়। খাতাপত্র যাছাই বাছাই করে দেখা যায় আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ করে শোরুমের ২০ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাত করেছেন। এমনকি কিছু গ্রাহকের মোটরসাইকেল ডকুমেন্টস টাকার বিনিময়ে অন্যের নামে নামকরণ করা হয়েছে।
বাদী আরও অভিযোগ করেন, আসামি সোহেল রানার শোরুমের গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ এখনও অব্যাহত রেখেছেন। এজন্য গ্রাহকদের অনুরোধ করা হলো- প্রতারক অভিযুক্ত রানার সাথে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন না করতে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত সোহেল রানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন বলে তিনি দাবি করেন।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কৃপা সিন্দু বালা বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।