সোনালি রঙের বিদেশি গোল্ডেন ক্রাউন বা মাল্টা তরমুজ চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সৌদি আরব ফেরত যুবক সোহেল রানা।
মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গোল্ডেন ক্রাউন বা মাল্টা তরমুজ অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি সুস্বাদু ফল। সাধারণত উঁচু জমি এবং দোআঁশ মাটি এই তরমুজ চাষের জন্য উপযুক্ত। সাধারণত তরমুজ মাটিতে হলেও এটি মাচায় বড় হয়। বীজ বপনের ২৫-৩০ দিনের মধ্যে ফুল আসে এবং ৫৫-৬০ দিনের মাথায় ফল কাটা শুরু হয়। এ তরমুজের আদি নিবাস তাইওয়ান। উপজেলায় নতুন জাতের এই তরমুজ গত বছর থেকে চাষ শুরু হয়েছে। বাজারে ভালো দামের পাশাপাশি চাহিদাও রয়েছে বেশ।
জানা গেছে, সোহেল রানা সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে গ্রীষ্মকালীন সবজির পাশাপাশি স্বল্প জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ‘গোল্ডেন ক্রাউন’ তরমুজ চাষ করেন। এতে তিনি সফলতা পেয়েছেন। পাশাপাশি লাভও হয়েছে ভালো। তার নতুন জাতের তরমুজ চাষে সফলতা দেখে উপজেলার অনেকে কৃষক উদ্বুদ্ধ হয়েছেন।
তরমুজ চাষি সোহেল রানা বলেন, আমি সব সময় বাজারে চাহিদা আছে এমন নতুন জাতের ফসল ও সবজি চাষ করি। মূলত ইউটিউব দেখে গোল্ডেন ক্রাউন বা মাল্টা তরমুজের বীজ নিয়ে আসি। এরপর চাষাবাদ শুরু করি। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে অনেক সহযোগিতা পেয়ে থাকি।
তিনি আরও বলেন, কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে শীতকালীন ফসল শেষ হওয়ার পর সেই ২০ শতক জমিতে পরীক্ষামূলক বীজ বপন করি। বীজ বপনের পর গাছ লম্বা হলে বাঁশ দিয়ে মাচা দেওয়া হয়। বপনের ২৫-৩০ দিন পর ফুল আসে এবং দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে ফল কাটা শুরু হয়। বাজারে বর্তমানে এই তরমুজ প্রতি পিস ২০০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৬৫ হাজার টাকা খরচ করে এক লাখ টাকা লাভের আশা করছেন তিনি।
মতলব উত্তর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইমন হোসেন বলেন, মাঠ পর্যায়ে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ র্কমর্কতা মো. মজিবুর রহমান বলনে, গোল্ডেন তরমুজ ক্ষেতে বিষমুক্ত ও জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করা হয়েছে। তাছাড়া পোকা দমনে ফাঁদসহ বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে।
উপজলো কৃষি অফিসার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, নতুন জাতের এই তরমুজ চাষে কৃষক সোহেল রানাসহ অন্যদের সব ধরনরে সহযোগতিা করবে কৃষি বিভাগ। এই সোনালি রঙের গোল্ডেন ক্রাউন বা মাল্টা তরমুজ চাষ ছড়িয়ে দিতে উপজেলার চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা হবে।