পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) প্রথম সাংবাদিক সংগঠন হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে ‘পাবিপ্রবি প্রেসক্লাব’।
রোববার (১৬ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন সংগঠনটির অনুমোদন দেন।
প্রেসক্লাবের যাত্রা উপলক্ষ্যে বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে বেলুন, কেক কাটা এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং পাবিপ্রবি প্রেসক্লাবের পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন।
আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ উদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, বিভিন্ন অনুষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, পাবিপ্রবিতে কর্মরত বিভিন্ন জাতীয় এবং অনলাইন গনমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, আজকের দিনটি অনেক আনন্দের। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম সাংবাদিক সংগঠন হিসেবে পাবিপ্রবি প্রেসক্লাব যাত্রা শুরু করেছে, এটা নিঃসন্দেহে আনন্দের। আমরা আশা করি পাবিপ্রবিকে তারা দেশ ও জাতির সামনে সুন্দর করে তুলে ধরবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এগিয়ে যাওয়াতে প্রেসক্লাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে আমি আশা করি।
উপাচার্য আরও বলেন, সাংবাদিকরা হলো জাতির ওয়াচ ডগ। যখনই কোন একটা সমাজ কিংবা জাতি বিপদের সম্মুখীন হন তখন সাংবাদিকরা সবাইকে সতর্ক করে দেন। আমরাও আশা করি পাবিপ্রবির সাংবাদিকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াচডগ হিসেবে ভূমিকা পালন করবেন।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান বলেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহউদ্দিন, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুল্লাহ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক ড. সমীরণ কুমার সাহা, প্রক্টর মো. কামাল হোসাইন।
আলোচনা সভার বেলুন এবং কেক কেটে পাবিপ্রবি প্রেসক্লাবের আনুষ্ঠানিক যাত্রার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
এদিকে পাবিপ্রবিতে প্রথম সাংবাদিক সংগঠনের অনুমোদনের পর প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বিভিন্ন জাতীয় এবং অনলাইন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ। সাংবাদিকরা জানান, আমরা দীর্ঘদিন একটা সংগঠনের অপেক্ষায় ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার চৌদ্দ বছর অবশেষে সংগঠনের যাত্রা শুরু হলো। এ জন্য আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ স্যার এবং সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি। আমরা আশা করছি এই সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরতে সক্ষম হবে।