পাবিপ্রবিতে সাবেক ভিসিপন্থিদের মানবববন্ধন, বিরোধীদের ক্ষুব্ধপ্রতিক্রিয়া পাবিপ্রবিতে সাবেক ভিসিপন্থিদের মানবববন্ধন, বিরোধীদের ক্ষুব্ধপ্রতিক্রিয়া – দৈনিক পাবনা
  1. admin@dainikpabna.com : admin :
  2. rakibhasnatpabna@gmail.com : Rakib Hasnat : Rakib Hasnat
রবিবার, ১১ জুন ২০২৩, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন
রবিবার, ১১ জুন ২০২৩, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
মেয়ে নিয়ে প্রবেশ করতে না দেয়ায় পাবিপ্রবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ দোগাছিতে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় হাতেনাতে ধরা ব্যবসায়ী ফরিদপুরের কেএম মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে ফল উৎসব রাষ্ট্রপতির আদেশে পাবিপ্রবির ৬ কর্মকর্তার তুরস্ক সফর বাতিল ঘোষণা ছাত্রলীগ নেতা জনির অত্যাচারে অতিষ্ট পাবনার ভাঁড়ারাবাসী আগুনে ৩ ঘর ভস্মীভূত ও পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি পাবনায় ভাঙন আতঙ্কে নদী পাড়ের মানুষ, হুমকিতে পল্লী বিদ্যুৎ সাবস্টেশন নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন: কৃষিমন্ত্রী তারাশে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রাচীর ভাংচুর ও জমি দখলের অভিযোগ  মালিগাছায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির অভিযোগ

পাবিপ্রবিতে সাবেক ভিসিপন্থিদের মানবববন্ধন, বিরোধীদের ক্ষুব্ধপ্রতিক্রিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১ বছর আগে
  • ১৩৬ বার পঠিত

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রোস্তম আলীর অনুসারী শিক্ষকরা রবিবার একটি মানববন্ধনের আয়োজন করেন। উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষের পদ শূন্য থাকায় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ থাকা, শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট আটকে থাকা, নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাশ চালু না হওয়া, সেশনজট বৃদ্ধিসহ একাডেমিক, প্রশাসিক, আর্থিক সঙ্কটসমূহ দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে এ মানববন্ধন আয়োজন করা হয়।

পাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে আয়োজিত এই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য অনুষদের ডিন ড. মো. কামরুজ্জামান, সহকারী প্রক্টর ফারুক আহমেদ, ডরমিটোরি প্রশাসক ড. রেদোয়ান হোসেন, ড. মো. আমিরুল ইসলামসহ হাতেগোণা কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্য অনুষদের ডিন ড. কামরুজ্জামান বলেন, ‘উপাচার্য না থাকায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ হয়ে গেছে। আর্থিক সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় পরিবহন চলাচল বন্ধ হবার উপক্রম, শিক্ষার্থীদের রেজাল্টও দেওয়া যাচ্ছে না। এক কথায় বহু সঙ্কটে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে এ সঙ্কট সমাধান করতে হবে।’ এ সঙ্কট উত্তরণের জন্য দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানাই।’

সহকারী প্রক্টর ফারুক আহমেদ বলেন, ‘মহান উপাচার্য রোস্তম আলী স্যার বিদায়ের পর আমরা মহাসঙ্কটে আছি। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন উপাচার্য নিয়োগ দরকার। সরকার এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে আশা করি।’ শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আয়োজনের নেপথ্যে থেকেও সরাসরি মানববন্ধনে আসেননি ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদেও ডিন সাইফুল ইসলাম, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. হাবিবুল্লাহ্, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন খায়রুল আলম প্রমুখ।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এদিকে উপাচার্য রোস্তম আলীর বিরোধী পক্ষের শিক্ষকরা কেউই এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেনি। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারসহ বেশিরভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী এতে অংশগ্রহণ করেনি। এ গ্রুপের একাধিক শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে সদ্যবিদায়ী ভিসি ও তার অনুসারীদের অনিয়ম-দুর্নীতি বিষয়ে তাদের ক্ষোভের কথা জানা যায়।

গণিত বিভাগে চেয়ারম্যান ড. মো. হারুন-অর রশিদ বলেন, ‘উপাচার্য রোস্তম আলী ও তার অনুসারীরা নিয়োগ বাণিজ্য, স্বজনপ্রীতি ও উন্নয়ন প্রকল্পে আর্থিক দুর্নীতি করার জন্যে অনেক আগে মেয়াদ শেষ হলেও উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের প্রস্তাব না পাঠিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল সঙ্কট সৃষ্টি করেছেন। ফলে এ বিষয়ে এখন তাদের মানববন্ধন করা তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়।’ একই ধরনের কথা বলেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান ও বাণিজ্য অনুষদের সাবেক ডিন ড. মুশফিকুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘যারা সঙ্কট সৃষ্টি করেছেন, সঙ্কট সমাধানে তাদেরই আবার মানববন্ধন আয়োজন তামাশা বৈ আর কিছু নয়। এ যেন মাছের মায়ের পুত্রশোক। আর এজন্যেই শিক্ষকেরা এতে অংশগ্রহণ করেননি। সাবেক ভিসির অনুসারী কতিপয় সুবিধাভোগী শিক্ষক কেবল এতে অংশ নিয়েছেন।’

শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আওয়াল কবির জয় বলেন, ‘উপাচার্য রোস্তম আলী ও তার অনুসারীরা গত চার বছরে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি করে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে যেমন সঙ্কটে ফেলেছেন, তেমনি সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। পাবিপ্রবির সঙ্কট নিােসনে তাদের এই মানববন্ধন তাই হাসির জন্ম দিয়েছে। রোস্তম আলীর কতিপয় সুবিধাভোগী ব্যতীত অধিকাংশ শিক্ষক তা প্রত্যাখান করেছে। আমি মনে করি ধিকৃত ভিসি রোস্তম আলীর অনুসারীদের এই মানববন্ধন বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন কোনো সঙ্কটে ফেলার দুরভিসন্ধি।’

উল্লেখ্য, গত ৭ মার্চ পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম রোস্তম আলীর মেয়াদ শেষ হয়। মেয়াদপূর্তির আগেই নিয়োগবাণিজ্যসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মাথায় তিনি চুপিসারে ক্যাম্পাস ছাড়েন। বর্তমানে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের পদ শূন্য থাকায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ হয়ে গেছে এবং শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট আটকে যাওয়ায় সেশনজট প্রবল আকার ধারণ করছে।

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ দৈনিক পাবনা
Themes Customized By Shakil IT Park