পাবনায় ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর খুন, ৪ জনের যাবজ্জীবন পাবনায় ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর খুন, ৪ জনের যাবজ্জীবন – দৈনিক পাবনা
  1. admin@dainikpabna.com : admin :
  2. rakibhasnatpabna@gmail.com : Rakib Hasnat : Rakib Hasnat
সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন
সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
পাবনায় ভাঙন আতঙ্কে নদী পাড়ের মানুষ, হুমকিতে পল্লী বিদ্যুৎ সাবস্টেশন নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন: কৃষিমন্ত্রী তারাশে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রাচীর ভাংচুর ও জমি দখলের অভিযোগ  মালিগাছায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির অভিযোগ ঈশ্বরদীতে বাড়ির পাশের পুকুরে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু পাবনা আইডিয়াল নার্সিং কলেজে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস উদযাপন পাবনায় মাদরাসা শিক্ষককে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ৪ দিনের সফরে পাবনা যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বরখাস্তের পরও আট বছর ধরে বেতন তুলছেন প্রধান শিক্ষক রূপপুরে উদ্ধার রাশিয়ান নারীর মরদেহে আঘাতের চিহ্ন

পাবনায় ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর খুন, ৪ জনের যাবজ্জীবন

দৈনিক পাবনা ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ৮ মাস আগে
  • ৯০ বার পঠিত

পাবনার সদর উপজেলার ভাঁড়ারায় আলাউদ্দিন ওরফে আলাল নামের এক বালু ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। অপরদিকে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় দুইজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার ২২ বছর পর সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনার বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আহসান তারেক এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক, আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম সুমন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সুজানগর উপজেলার মৃত ডা. ছলিম উদ্দিনের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর হাসান, ভবানীপুর গ্রামের আব্দুল গণি শেখের ছেলে কালাম শেখ, ভাঁড়ারার আওরঙ্গবাদ এলাকার আকবর শেখের ছেলে নজরুল ইসলাম এবং সদর উপজেলার বাহিরচরের আবুল কাশেমের ছেলে রবিউল ইসলাম রবি। আসামিদের মধ্যে মো. জাহাঙ্গীর হাসান এবং রবিউল ইসলাম রবি আদালতে উপস্থিত ছিলেন বাকি দুইজন পলাতক। পরে জাহাঙ্গীর ও রবিকে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত।

নিহত আলাউদ্দিন ওরফে আলাল ভাঁড়ারা ইউনিয়নের আওরঙ্গবাদ এলাকার মৃত ইউনুছ আলীর ছেলে। পেশায় তিনি বালির ব্যবসায়ী ছিলেন। আলালের সঙ্গে বালির ব্যবসার সূত্রেই আসামি মো. জাহাঙ্গীর হাসানের দীর্ঘ পরিচয় ছিল।

মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়ী লেনদেন নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল। সেই বিরোধে ২০০০ সালের ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালের দিকে অন্যান্য আসামিদের দিয়ে নিহত আলাউদ্দিন ওরফে আলালকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান জাহাঙ্গীর। পরে তাকে হত্যা করে পাশের পাশের চরতারাপুর পয়েন্টের পদ্মা নদীতে ফেলে দেয়। ঘটনার ৩ দিন পর পদ্মা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

এঘটনায় নিহত আলালের চাচা আনিসুর রহমান বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় প্রথমে জাহাঙ্গীরকে অব্যহতি দিয়ে অভিযোগপত্র দিলেও পরে বাদীর না-রাজিতে দ্বিতীয় বারে জাহাঙ্গীরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ১২ জনের স্বাক্ষী ও দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ আদালত এই রায় দিলেন।

অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম সুমন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘রাষ্টপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, শুধুমাত্র অভিযোগপত্রের ওপর ভিত্তি করে আদালত এই রায় দিয়েছেন। ফলে আমার মক্কেলরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা উচ্চ আধালত আপিল করবো আশা করি সেখানে আমরা ন্যায় বিচার পাবো।

তবে রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আসামিদের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। ফলে আদালত তাদের উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছেন। এর মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে আমি মনে করি।’

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ দৈনিক পাবনা
Themes Customized By Shakil IT Park