পাবনায় নারী শ্রমিককে গণধর্ষণ, মূলহোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে পাবনায় নারী শ্রমিককে গণধর্ষণ, মূলহোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে – দৈনিক পাবনা
  1. admin@dainikpabna.com : admin :
  2. rakibhasnatpabna@gmail.com : Rakib Hasnat : Rakib Hasnat
মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৩:১৯ অপরাহ্ন
মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৩:১৯ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
আগামী জাতীয় নির্বাচনে কামরুজ্জামান উজ্জ্বলকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা স্বাধীনতা দিবসে পাবনা ইউনানী-আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজে বৃক্ষরোপণ  পৃথিবীর কাছ দিয়ে ছুটে যাবে বিরাট গ্রহাণু সাঁথিয়ায় নতুন ঘর পাচ্ছেন ১৪২ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাবনায় পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২ এক যুগ পরে কাজিরহাট সম্মিলিত যুবক সমিতির নতুন আহবায়ক কমিটি অনন্য সমাজ কল্যাণ সংস্থাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে : নির্বাহী পরিচালক পাবনায় শক্রতার আগুনে পুড়ে ছাই ব্যবসায়ীর বসতভিটা,  ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি সুজানগরে বাকপ্রতিবন্ধীর পরিবার ভিটেবাড়ি ছাড়া, জমি লিখে নেয়ার চেষ্টা  সায়েন্সল্যাবে ভবনে বিস্ফোরণ, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস

পাবনায় নারী শ্রমিককে গণধর্ষণ, মূলহোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ৫ মাস আগে
  • ২৭৩ বার পঠিত

পাবনা সদর উপজেলা বলরামপুরে কারখানায় কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে এক নারী শ্রমিককে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ২ জন অভিযুক্তকে আটক করেছে। তবে ঘটনার মূলহোতারা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।

রোববার (৬ নভেম্বর) সকালে এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম। এর আগে শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলার বলরামপুরের ইন্ট্রা ফুড এন্ড বেভারেজ কোম্পানির পেছনে এঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী নারী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইন্ট্রা ফুড এন্ড বেভারেজের ফ্লোর সুপারভাইজ হিসেবে কাজ করেন শ্যামলী খাতুন (ছদ্মনাম)। প্রতিদিন কাজ শেষে কারখানার আরেক কর্মী সাব্বির সঙ্গে বাড়ি ফেরেন। কিন্তু শুক্রবার সাব্বিরকে আগেভাগেই ছুটি দেন কারখানার আরেক সুপারভাইজার শাহ আলম।  সাব্বির বিকেলে বাড়ি ফেরায় এদিন রাত ৯টার দিকে একাই বাড়ি ফিরছিলেন শ্যামলী। এসময় শাহ আলম তাকে বাড়ির পথে এগিয়ে দেয়ার কথা বলে তার সঙ্গে রওনা হয়। কিছু দূর গিয়ে নির্জন স্থানে প্রথমে শাহ আলম তাকে জড়িয়ে ধরে এবং অনৈতিক সম্পর্কের চেষ্টা করে। এসময় শ্যামলী তাকে ধাক্কা দিলে শাহ আলম ক্ষিপ্ত হয়ে তার মোবাইল ছিনিয়ে নেয়, একটু দূরে গিয়ে কারোর সঙ্গে কথা বলতে শোনা যায়। এর মাত্র ১-২ মিনিটের মধ্যেই সেখানে আরও ৭-৮ জন যুবক এসে তাদের ঘিরে ধরে।

যুবকরা প্রথম শ্যামলীর গলা ধরে আরেকটু জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায়। এসময় শ্যামলী চিৎকার দিতে গেলে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে খবর দিয়ে সেখানে হাজির করা হয় সাব্বিরকেও। সাব্বির ও শাহ আলমকে আটকে রেখে শ্যামলীর গলায় ছুরি ধরে তাকে কয়েকজন নিয়ে যায় ইন্ট্রার ফুড এন্ড বেভারেজের পেছনে। সেখানে ২-৩ জন মিলে তাকে ধর্ষণ করে।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, এঘটনায় আমরা অভিযোগ পেয়েছি। ইতোমধ্যেও আমরা দুইজনকে গ্রেফতার করেছি। বাকিদের নাম-ঠিকানা কিছু পেয়েছি। তাদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। খুব শিগগিরই তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

পুলিশ অন্যান্যদের নাম প্রকাশ না করলেও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, এঘটনার সঙ্গে জড়িত ছাত্তার মেম্বারের ছেলে বাদশা, দলু খাঁর ছেলে আতিয়ার, রশিদ মুন্সির ছেলে রাজিব, আমজাদ খাঁর ছেলে মনির, শুকুর ধুরার ছেলে আশরাফ, বশির শেখের শেখ সাদী ও কাসেম শেখের ছেলে সাঈদ শেখ। তারা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। ঘটনার পর থেকেই তারা লাপাত্তা।

স্থানীয় মেম্বার রবিউল ইসলাম রবি জানান, ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমরা ইতোমধ্যেই তাদের চিহ্নিত করেছি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করেছি। তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন। আর যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সে জন্য এই ঘটনার কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ দৈনিক পাবনা
Themes Customized By Shakil IT Park