‘জন্মের ২০ দিনের মাথায় নাতিটা বাবা হারা হলো’ ‘জন্মের ২০ দিনের মাথায় নাতিটা বাবা হারা হলো’ – দৈনিক পাবনা
  1. admin@dainikpabna.com : admin :
  2. rakibhasnatpabna@gmail.com : Rakib Hasnat : Rakib Hasnat
সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০৮:০৫ পূর্বাহ্ন
সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০৮:০৫ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
পাবনায় ভাঙন আতঙ্কে নদী পাড়ের মানুষ, হুমকিতে পল্লী বিদ্যুৎ সাবস্টেশন নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন: কৃষিমন্ত্রী তারাশে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রাচীর ভাংচুর ও জমি দখলের অভিযোগ  মালিগাছায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির অভিযোগ ঈশ্বরদীতে বাড়ির পাশের পুকুরে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু পাবনা আইডিয়াল নার্সিং কলেজে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস উদযাপন পাবনায় মাদরাসা শিক্ষককে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ৪ দিনের সফরে পাবনা যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বরখাস্তের পরও আট বছর ধরে বেতন তুলছেন প্রধান শিক্ষক রূপপুরে উদ্ধার রাশিয়ান নারীর মরদেহে আঘাতের চিহ্ন

‘জন্মের ২০ দিনের মাথায় নাতিটা বাবা হারা হলো’

দৈনিক পাবনা ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১ মাস আগে
  • ২৪ বার পঠিত

‘আমার জামাই অজু করতে বসেছিল ইফতারের আগ মুহূর্তে। এ সময় পেছন থেকে চাপাতি দিয়ে কোপ দেয় তার ভাতিজা। ছেলে আমার ইফতার করতেও পারেনি। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ওরা আমার ছেলেকে মেরে ফেলল। ২০ দিন আগে আমার মেয়ের সিজার (অস্ত্রোপচার) করে বাচ্চা হয়েছে। জন্মের ২০ দিনের মাথায় নাতিটা বাবা হারা হয়ে গেল। তার মোস্তাকিন নামে আড়াই বছরের সন্তান রয়েছে। আমাদের সব শেষ হয়ে গেল।’

রোববার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের বাগবাড়িয়া গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত আফজাল হোসেনের (৩৫) শ্বশুর আব্দুর রহিম।

তিনি বলেন, গত ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যার দিকে উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের বাগবাড়িয়া গ্রামে জমি মাপামাপি হয়। এই বিরোধের জেড়ে প্রতিপক্ষ আমার জামাই আফজালকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এ ঘটনার পরে তাকে দ্রুত তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসক তাকে দ্রুত আইসিইউতে নেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু হাসপাতালে আইসিইউয়ের বেড ফাঁকা না থাকায়। তাকে লক্ষ্মীপুরে সিডিএম হাসপাতালের আইসিওইউতে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরদিন আবার রামেক হাসপাতালে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঈদের দিন ভোরে তার মৃত্যু হয়।

আব্দুর রহিম বলেন, রোববার দুপুর ১২টার দিকে ময়নাতদন্ত হয়েছে। এরপর আমরা মরদেহ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হই। এ ঘটনায় শনিবার (২২ এপ্রিল) ঈশ্বরদী থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা করা হয়।

রামেক হাসপাতালের ডোম তপন কুমার ঢাকা পোস্টকে বলেন, শনিবার ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু লাশের কোনো স্বজন ছিল না। তারা ঈশ্বরদী থানায় মামলা করতে গিয়েছিল। আজ সকালে তারা এসেছিল। দুপুর দেড়টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ নিয়ে গেছে।

ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার পর আসামিরা পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ দৈনিক পাবনা
Themes Customized By Shakil IT Park