সোমবার (৩১অক্টোবর) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য দেন পুলিশ সুপার মোঃ আকবর আলী মুন্সী। এসময় ছিনতাই কাজে উদ্ধারকৃত হত্যায় ব্যবহার করা রশি, গামছা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করাও হয়েছে। এই ঘটনায় চাটমোহর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে নিহতের পরিবার।
মামলার সূত্র ধরে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও পর্যালোচনা এবং আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম এবং সহকারী পুলিশ সুপার চাটমোহর সার্কেল সজীব শাহরীন ও অফিসার ইনচার্য জালাল হোসেন এর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিমের যৌথ অভিযান পরিচালনা করেনে। চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত আসামীদের গাজীপুর ও ঢাকা থেকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন চাটমোহর থানা ধানী ইসলামের ছেলে মোঃ আতিকুল ইসলাম (২১), সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর শিমুলতলি এলাকার মোঃ লুৎফর প্রামানিক, মোঃ মুজা প্রামাণিক (২২) ও চাটমোহর দিমুনিয়া গ্রামের মো: মোজাম্মেল হক মো: আনিছুর রহমান (৩২)।
উল্লেখ্য, (গত ১২অক্টোবর) অটোচালক মো: ইসমাইল হোসেন বিকাল ৩টায় বাসা থেকে কাজের উদ্দেশ্যে অটোরিকক্সা নিয়ে বের হয়। আসামীরা বেশি ভাড়া দেওয়ার কথা বলে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে অটো রিক্সা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এই হত্যা মামলায় মৃত ব্যক্তির চাচা ইব্রাহিম খন্দকার বাদী হয়ে চাটমোহার থানাতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করনে। পুলিশ সুপার অভিযানের তথ্য প্রদাণ অনুষ্ঠানে নিহতের পরিবারের সদস্য মা আনোয়ারা বেগম, স্ত্রী মোছা আলেয়া খাতুন, ছেলে মোঃ মনির হোসেন সুমিন উপস্থি ছিলেন। তারা এই হত্যার প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন ও হত্যাকারীদরে পুলিশ দ্রæত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা জন্য কৃতজ্ঞা জানান। একই সাথে হত্যাকারী আসামীদের সর্বচ্চা শাস্তির দাবি করেন পুলিশ গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে।