জানা গেছে, চর গড়গড়ী গ্রামের চর গড়গড়ী মাদ্রাসা হাট-বাজার ও আলহাজ্ব মোড় হাট-বাজার নামের দুটি পৃথক হাট-বাজার রয়েছে। উভয় হাটদুটিই সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ইজারাদাররা ভোগদখল করে আসছে। চলতি চৈত্র-বৈশাখ বছরের জন্য ২১ লাখ টাকা দিয়ে চর গড়গড়ী মাদ্রাসা হাট-বাজারটি ইজারা নেন গোলাম সারওয়াররা এবং নিয়মিত খাঁজনা আদায় করে আসছিলেন। পরে পাশের ৫০০ মিটার দূরের আলহাজ্ব মোড় হাট-বাজার ৩৫ লাখ টাকা দিয়ে ইজারা নিয়ে আসেন আব্দুল্লাহ আল কাফি মালিথারা। আলহাজ্ব মোড় হাট-বাজার তেমন জাকজমকপূর্ণ না হওয়ায় পাশের চর গড়গড়ী মাদ্রাসা হাট-বাজার দখল করেন কাফি-সন্টু গংরা।
গোলাম সারওয়াররা মাদ্রাসা হাট-বাজারের বেশ কয়েকটি স্থাপনা তৈরি করেন এবং বাজারের জায়গা বৃদ্ধি করেন। ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় ভাড়া নিয়ে বাজার পরিচালনা করে আসছিলেন গোলাম সারওয়াররা। কিন্তু এসব আমলে না নিয়েই জোরপূর্বক বাজার দখল করার পাঁয়তারা করছেন প্রতিপক্ষরা।
এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনও সময় উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের রূপ নিতে পারে বলে এলাকাবাসী ও বাজারের ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে রয়েছেন। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার সবজি বেচাকেনা হয় এবং ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রফতানি হয়। পরিস্থিতি অবনতি হলে বাজারের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
এবিষয়ে চর গড়গড়ী মাদ্রাসা হাট-বাজারের ইজারাদার গোলাম সারওয়ার বলেন, আমি সরকারের সকল নিয়ম মেনেই হাট-বাজার ডেকেছি এবং ভোগ দখল করে আসছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই কাফিরা পাশের আলহাজ্ব মোড় ডেকে এসে আমার মাদ্রাসা হাট-বাজার দখল করেছে। অথচ আলহাজ্ব মোড় আমার বাজার থেকে ৫০০ মিটার দূরে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিষয়ে সমাধান করার চেষ্টা করলেও প্রতিপক্ষ কাফিরা বিষয়টি মানছেন না।
তিনি আরও জানান, মাদ্রাসার হাট-বাজারের সাইরাতভুক্ত জমিতে বাজারের জায়গা সংকুলান না হওয়ায় এলাকার কৃষকের কথা চিন্তা করে মাদ্রাসার হাট বাজার সংলগ্ন ব্যক্তি মালিকানা জমি একসনা লিজ নিয়ে সেখানে আমি অস্থায়ী আড়ত নির্মাণ করেছি। আমার লিজ নেওয়া জমিতে বসানো সবজি বাজার এবং নিজ অর্থায়নে নির্মিত কাচামালের আঁড়ত কাফি গ্রুপ জোরপূর্বক দখল করে খাজনা আদায় করছেন।
এবিষয়ে চর গড়গড়ী আলহাজ্ব মোড় হাট-বাজারের ইজাদার আবদুল্লাহ আল কাফির সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তার কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বাজার গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) পিএম ইমরুল কায়েসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উভয় পক্ষকে হাট-বাজারের নির্ধারিত স্থান বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এরপরও সমস্যা হলে সমাধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।